বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
পৌরসভা নির্বাচনের রেশ না কাটতেই বাকেরগঞ্জ উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে আরেকটি নির্বাচনী উৎসব।সময় যতো ঘনিয়ে আসছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উৎসবের মাত্রা।স্থানীয় নির্বাচনে এরকম উৎসবের আমেজে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রায় সকল শ্রেণির লোকজন উপভোগ করে থাকেন।এ কারণে চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আলোচনার মধ্যেও নির্বাচনী আলোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে কলসকাঠী ইউনিয়ন নানাবিধ কারণে গুরুত্বপূর্ণ।নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে বিজয় ছিনিয়ে নেয়াটাও বিশেষ ভাবে কঠিন।আরো অনেক বিষয়ের মতো জনসংখ্যা বিচারেও এই ইউনিয়নটি বিশেষ ভাবে বিবেচ্য।অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় জনসংখ্যার পরিমান বেশী।এ কারণে বেশী মানুষের মন রক্ষা করে চলাটাও কষ্টসাধ্য।কিন্তু এই কষ্টসাধ্য কাজটি কয়েকজন মানুষ করতে পেরেছেন এবং এখনো পারছেন।তাদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার মনু অন্যতম।তার হঠাৎ প্রয়ানের পর যোগ্য উত্তরসূরীর কাতারে সামিল হয়েছেন পুত্র ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার।ত্যাগ-তীতিক্ষা,মানুষের প্রতি ভালোবাসা সর্বপরি মানুষের কল্যাণে তার ভূমিকা অগ্রগণ্য। তার হঠাৎ মৃত্যুতে যোগ্য উত্তরসূরী মুন্না তালুকদার কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান,পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য মুন্না তালুকদার কে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের দাবী,পিতার আদর্শ সন্তানের মধ্যে থাকে।উপ-নির্বাচনের পর অল্প সময়েই মুন্নার কাজে-কর্মে সেরকমই দেখা যাচ্ছে।স্থানীয়দের দাবী,কলসকাঠী ইউনিয়নবাসীর সুখ, দুঃখের ভাগিদার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার মনু’র যোগ্য উত্তরসূরী মুন্না তালুকদার।স্থানীয় অধিকাংশের দাবী,পিতার আদর্শে দীক্ষিত ও উজ্জীবিত মুন্না তালুকদার ইতোমধ্যে সেই বিশ্বাস অর্জন করেছেন।আশ্রয় করে নিয়েছেন অধিকাংশ মানুষের মনে।কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আরো যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন,তাদের মধ্যে সার্বিক বিচারে মুন্না তালুকদারের অবস্থান বেশী শক্তপোক্ত বলে দাবী স্থানীয় অধিকাংশ সূত্রের।সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে একই ধারণা পাওয়া গেছে।স্থানীয়দের দাবী অনুযায়ি,আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টিও অনেকটা নিশ্চিত বলে ধরাণা করা হচ্ছে।তাদের দাবী, মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থনের পাশাপশি আওয়ামীলীগ দলীয় উপজেলার শীর্ষ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসূল আলম চুন্নু, পৌরমেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মি ও সমর্থকদের সাথেও রয়েছে তার দারুণ সখ্যতা।এছাড়া দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামীলীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র স্নেহধন্য হওয়ায় মনোনয়ন লুফে নেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে মুন্না তালুকদার।দলঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদার বলেন,বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার মনু।পিতার সেই আদর্শ বুকে ধারণ করে আমার অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্’র নির্দেশনায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের সেবা করে যেতে চাই। মুন্না তালুকদার বলেন,নির্বাচিত হয়ে আমি হবো জনগণের সেবক এবং জনগণ হবেন চেয়ারম্যান।